(ক) ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস এর অভাবজনিত রোগ Diseases due to deficiency of calcium and phosphorus
আমিষ, শ্বেতসার, চর্বি এবং ভিটামিনের মতো পাখির খাদ্যে খনিজ পদার্থের একান্ত প্রয়োজন। পাখির দৈহিক বৃদ্ধি, স্বাস্থ্য রক্ষা এবং প্রজননের জন্য খনিজ পদার্থ অত্যাবশ্যক। তবে অধিক পরিমাণে খনিজ পদার্থ বিষক্রিয়া সৃষ্টি করে । তাই পরিমিত পরিমাণ খনিজ পদার্থ খাদ্যের সাথে সরবরাহ করতে হয়।
কাজ:
পাখি/মুরগির দেহের অস্থি গঠন, ডিমের খোসা তৈরিতে খনিজ পদার্থ অত্যাবশ্যক।
দেহের অম্ল-ক্ষারত্ব সমতা রক্ষা করে ।
খনিজ শর্করা ও চর্বি জাতীয় খাদ্যে বিপাকে সাহায্যে করে ।
অভাবজনিত লক্ষণ:
ঠোঁট নরম ও বাঁকা হয়।
ডিমের খোসা নরম ও পাতলা হয়
খোসা ছাড়া ডিম দেয়।
অস্থির গঠন ঠিক মতো হয় না।
রক্ত জমাট বাঁধে না।
রিকেট রোগ ও কেজ লেয়ার ফ্যাটিগ রোগ হয়।
বাচ্চা ফোটার হার কমে যায়।
প্রতিরোধ ও চিকিৎসা:
মাছের গুঁড়া, ঝিনুক, হাড়, দানা শস্য, পালং শাক ইত্যাদি মুরগির খাদ্যে সরবরাহ করলে এই রোগ থেকে মুক্ত থাকা যায় ।
মুরগির খাদ্যের ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের অনুপাত হবে বাচ্চা মুরগিতে ২.২ঃ১।